কুখ‍্যাত ছিনতাইবাজকে গ্ৰেপ্তার করলো পুলিশ : উদ্ধার ছিনতাই করা সামগ্ৰী

16th May 2021 5:56 pm বর্ধমান
কুখ‍্যাত ছিনতাইবাজকে গ্ৰেপ্তার করলো পুলিশ : উদ্ধার ছিনতাই করা সামগ্ৰী


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : বাইকে সওয়ার হয়ে সড়কপথে চলাচলকারী  মানুষজনের মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করা চক্রের এক পাণ্ডাকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ ।  ধৃতের নাম সেখ সাজিদ ওরফে রণি। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার ইছাপুরে ধৃতের বাড়ি ।ছিনতাই করে পালানোর সময়ে  রায়না থানার পুলিশ বর্ধমান আরামবাগ রোডে মূলকাঠি ধরে ফেলে কুখ্যাত এই ছিনতাইবাজকে ।ছিনতাই  চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত আছে  তা জানার জন্যে পুলিশ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ।  পুলিশ জানিয়েছে ,রায়নার সেহারা গ্রামে বাড়ি   শ্রীধর দাস পরামাণিকের ।স্ত্রী ও ছেলেকে বাইকে চাপিয়ে নিয়ে শ্রীধর বাবু বর্ধমান থেকে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। বেলা আনুমানিক সাড়ে ৮ টা নাগদ  বর্ধমান আরামবাগ রোডে খালেরপুল এলাকায় হাম্প থাকায় তিনি বাইক স্লো করেন ।শ্রীধর বাবুর অভিযোগ তিনি বাইক স্লো করতেই হঠাৎতই বাইকে চেপে আসা এক যুবক তাঁর স্ত্রীর হাতে থাকা  ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় । যে ব্যাগে শ্রীধর বাবুর স্ত্রীর নোবাইল ফোন , কিছু টাকা পয়সা ও দরকারি নথিপত্র  ছিল। ঘটনার পরে শ্রীধর বাবু রায়না থানায় পৌছে ওসি পুলক মণ্ডল কে সবিস্তার জানান । অভিযোগ পাবার পরেই নড়ে চড়ে বসে রায়না থানার পুলিশ। সড়পথে ঘুরে ঘুরে পুলিশ ছিনতাই বাজের খোঁজ চালাতে শুরু করে । দুপুরের মধ্যেই রায়না থানার পুলিশ বর্ধমান আরামবাগ রোডে মূলকাঠি এলাকা থেকে কুখ্যাত ছিনতাইবাজ শেখ সাজিদকে ধরে ফেলে । পুলিশের দাবি ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে শ্রীধর বাবুর স্ত্রীর ব্যাগ,মোবাইল 
ফোন , টাকা পয়সা ও নথিপত্র ।  পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ,অল্প বয়স থেকে ছিনতাইয়ে হাত পাকায়  মেমারির ইছাপুর নিবাসী ২৬ বছর বয়সী যুবক শেখ সাজিদ ওরফে রণি। ছিনতাই চালাতে বেরিয়ে শেখ সাজিদ ২০১৯ সালে প্রথমে বর্ধমান ও পরে মেমারি থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়।জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ফের ছিনতাই চালাতে গিয়ে শেখ সাজিদ  হুগলীর পাণ্ডুয়া থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এবার সে রায়না থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়লো । ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হবে বলে রায়না থানার পুলিশ জানিয়েছে । 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।